ছবি সংগৃহীত
নিউইয়র্কে চাঁদপুর প্রবাসীদের বনভোজনে মূলধারার দুই রাজনীতিক সিনেটর মাসুদুর রহমান এবং আকতার হোসেন বাদল আমেরিকান স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হবার উদাত্ত আহ্বান জানালেন এবং নভেম্বরের নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থীকে ভোটদানে সংঘবদ্ধ হবার কথা বললেন।
নিউইয়র্ক সিটির সন্নিকটে লং আইল্যান্ডে বেথপেজ স্টেট পার্কের মনোরম পরিবেশে শত শত প্রবাসীর উপস্থিতিতে সম্প্রীতির জয়গানের অপূর্ব এ আয়োজন করেছিল ‘রূপসী চাঁদপুর ফাউন্ডেশন’।
উল্লেখ্য, কানেকটিকাট স্টেটের সিনেটর (ডেমক্র্যাট ) মাসুদুর রহমান এবং লং আইল্যান্ড চেম্বারের পরিচালক (ডেমক্র্যাট) আকতার হোসেন বাদল উভয়েই চাঁদপুরের একই এলাকার সন্তান এবং দু’জনকেই ‘রূপসী চাঁদপুর ফাউন্ডেশন’র উপদেষ্টা করা হয়েছে।
আর ২৮ জুলাইয়ের এই বনভোজনে প্রধান অতিথি ছিলেন ডেমক্র্যাটিক পার্টির অন্যতম সংগঠক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আকতার হোসেন বাদল।
দলমত নির্বিশেষে কম্যুনিটির বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিত্বকারী ছাড়াও ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। অর্থাৎ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে দিনব্যাপী বনভোজনের আয়োজনটি প্রবাসীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়।
এ সময় প্রদত্ত বক্তব্যে সিনেটর মাসুদুর রহমান বলেছেন, আমি যে এলাকা থেকে নির্বাচিত হয়েছি সেখানকার ভোটারের ১% এরও কম হলেন বাংলাদেশি। তা সত্ত্বেও আমি ৮০ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছি এলাকার সর্বস্তরের মানুষের অকুন্ঠ সমর্থন নিয়ে। এটা সম্ভব হয়েছে বিপদ-আপদে এবং নাগরিকগণের ন্যায্য অধিকারের আন্দোলনে সবসময় পাশে থাকায়।
সিনেটর মাসুদ বলেন, আমার নির্বাচনের সময় নিউইয়র্ক থেকে চাঁদপুরের বিশিষ্টজনেরা পাশে ছিলেন। এখনও আছেন-এটাই পরম সত্য।
মূলধারার দুই রাজনীতিক সিনেটর মাসুদুর রহমান ও আকতার হোসেন বাদল (বামে)
অপরদিকে আকতার হোসেন বাদল বলেন, চাঁদপুরের অনেকেই এই প্রবাসে নিজ নিজ মেধা আর অধ্যাবসায়ের সুফল হিসেবে মূলধারার রাজনীতি এবং ব্যবসা-বাণিজ্য এবং মার্কিন প্রশাসনে বিশেষ এক স্থানে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। আমি আশা করছি শিগগিরই নিউইয়র্কে ‘চাঁদপুর ভবন’ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। এজন্যে যদি ৫০ জনকে বাছাই করে প্রত্যের কাছ থেকে ১০ হাজার ডলার করে সংগ্রহ করা যায় তাহলে ৫ লাখ ডলার হবে। এই অর্থে মোটামুটি বড় ধরনের একটি বাড়ি ক্রয়ের পর সেখানে সমিতির অফিস, কম্যুনিটি সেন্টার, নবাগতদের কর্মসংস্থানের ওয়ার্কশপের কক্ষ স্থাপন করা সম্ভব হবে। অর্থাৎ যে সংকল্পে ‘রূপসী চাঁদপুর ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা বাস্তবায়িত করার পথ সুগম হবে। বাদল এ জন্যে ফাউন্ডেশনের বর্তমান কমিটিকে উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।
বাদল বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, নিউইয়র্কে বিপুলসংখ্যক চাঁদপুরবাসীর সাথে অন্য জেলার বহু প্রবাসী সিটিজেনশিপ নিয়েছেন। তারা ঐক্যবদ্ধ থাকলে কংগ্রেস, স্টেট সিনেট এবং কোন কোন সিটির মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হতে কোনও সমস্যা হবে না। আমেরিকান স্বপ্ন পূরণের ক্ষেত্রে মূলধারার রাজনীতি ও প্রশাসনে সাথে সম্পর্ক জোরদারের বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেছেন আকতার হোসেন বাদল।
প্রসঙ্গত, নিউইয়র্ক অঞ্চলে মূলধারার রাজনীতিতে প্রবাসীদের পথিকৃত হিসেবে পরিচিত মোর্শেদ আলম (ডেমক্র্যাট)ও চাঁদপুরের একই এলাকার সন্তান। তিনিও ছিলেন বনভোজনে।
জমজমাট এই বনভোজনের হোস্ট সংগঠনের সভাপতি ফখরুল ইসলাম মাসুম, সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম মনির ছাড়াও পুরো আয়োজনকে সাফল্যমণ্ডিত করতে নিষ্ঠার সাথে কাজ করেছেন আমিন খান জাকির, মোহাম্মদ জামান তপন, বনভোজন কমিটির আহ্বায়ক আব্দুর রহিম ভূঁইয়া, সদস্য সচিব মো. আবু তাহের, মিজানুর রহমান, সিদ্দিক পাটোয়ারি প্রমুখ।
দিনভর আড্ডা, স্মৃতিচারণ আর পরম তৃপ্তিতে ভোজন গ্রহণের পর ছোট্টমণি, তরুণ-তরুণী আর বয়স্কদের বিনোদনমূলক বিভিন্ন খেলাধূলা অনুষ্ঠিত হয়। সবশেষে ছিল ২০টি আকর্ষণীয় পুরস্কারের র্যাফেল ড্র।
সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন